সীমান্তে হুন্ডি সিন্ডিকেট সক্রিয়
- আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৭:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৭:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জে ভারতের সাথে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় ১২০ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই সীমান্ত এলাকাকে ঘিরে চোরাকারবারিদের পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে হুন্ডি সিন্ডিকেট। চোরাকারবারিদের অর্থ লেনদেন হয় এই হুন্ডি চক্রের মাধ্যমে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী বাজার ও গ্রামকে ঘিরে চোরাকারবারীরা গড়ে তুলেছে একাধিক হুন্ডির এজেন্ট। যার মাধ্যমে দুই দেশের টাকা আদান-প্রদান হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকা হুন্ডি কারবারিদের ‘নিরাপদ’ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সম্প্রতি এই উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাউড়া সীমান্ত এলাকা সাড়ে ১৯ লাখ ভারতীয় রুপিসহ হৃদয় মিয়া (২৫) নামের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতীয় রুপির এই বড় চালান ধরার পর দোয়ারাবাজারসহ জেলার সীমান্ত এলাকায় হুন্ডি কারবারিদের তৎপরতা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার কিছু অসাধু সদস্য ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কাজে সহায়তা করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্ত উপজেলা দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার, বোগলাবাজার, নরসিংপুর ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত বাজারকে কেন্দ্র করে হুন্ডি কারবারি চক্রের একাধিক সিন্ডিকেটে গড়ে উঠেছে। এদের নেটওয়ার্ক দেশের অভ্যন্তর পেরিয়ে ভারত পর্যন্ত। সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট এলাকায় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট এজেন্ট রয়েছে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই চোরাকারবারের সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা সুযোগে চোরাকারবারি ও হুন্ডি কারবারিদের গভীর সংযোগের মাধ্যমেই সীমান্ত দিয়ে পাচার ও প্রবেশ করছে বিভিন্ন পণ্য। এসবে মূল্য পরিশোধে হুন্ডি চক্র মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
সূত্র জানায়, আগে সীমান্ত এলাকায় হুন্ডির টাকা হাতবদল গোপনে হলেও বর্তমানে তা ওপেনসিক্রেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাবাজার এলাকার এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, হুন্ডি ব্যবসা সীমান্ত এলাকায় এখন ওপেন সিক্রেট। এখানে হুন্ডি কারবারিরা প্রভাবশালী। তাদের সিলেট-সুনামগঞ্জে বাসা-বাড়ি রয়েছে। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। চোরাকারবার চক্রের সাথে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। মুনাফা দিয়ে বাংলা টাকা পরিবর্তন করে তাদের কাছ থেকে ইন্ডিয়ান রুপি নেয়া যায়। এটা সবার জানা। কে কে হুন্ডি ব্যবসা করেন তা সবে জানে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে ২৮ বিজিবি‘র অধিনায়ক লে.কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ